রেণ্য গণসংগীতশিল্পী, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক, বংশীবাদক ফকির আলমগীরের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রাজধানীর খিলগাঁও তালতলা কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন নন্দিত এই শিল্পী।
শনিবার (২৪ জুলাই) বিকেলে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে খিলগাঁও চৌধুরী পাড়া মাটির মসজিদে মরহুমের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। দাফনের পর তার কবরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপসের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এর আগে সকাল ১১টায় খিলগাঁও পল্লীমা সংসদ মাঠে প্রথম জানাজার আগে গার্ড অব অনার দেওয়া হয় স্বাধীন বাংলা বেতারের এই কণ্ঠসৈনিককে। পরে বেলা ১২টায় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ নেয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়ার্কার্স পার্টি, শিল্পকলা একাডেমি, কৃষক লীগসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ ছাড়া তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ অনেকে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর বেসরকারি এক হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থায় ফকির আলমগীরের হার্ট অ্যাটাক হয়। রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জাগরণের শিল্পী ফকির আলমগীর করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী শোক জানিয়েছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।